ইউপি মেম্বার আল-আমিন প্রায় ৪০-৪২টি মাল্টা গাছ নিয়ে সুন্দর এক বাগান গড়ে তুলেছেন। প্রতিটি গাছেই ফলন হয়েছে শতাধিক মাল্টার। স্বাদেও অনন্য এ ফল। তার বাগান থেকে প্রায় প্রতিদিনই সরাসরি মাল্টা কিনে নিয়ে যান খুচরা ও পাইকারি ফল ব্যবসায়ীরা। স্বাদ ভালো এবং ফরমালিনমুক্ত হওয়ায় এর চাহিদাও বেশি। ফলে বাজার মূল্যের চেয়ে কেজিতে ১০-২০ টাকা বেশি দামে তার কাছ থেকে মাল্টা কিনে নিয়ে যান ফল ব্যবসায়ীরা।
আল-আমিন বলেন, ‘চার বছর আগে বাড়িতে টিভি চ্যানেলে কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠানে মাল্টা চাষের খবর ও চাষ পদ্ধতি দেখে এ কাজে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলাম। পরে নরসিংদীর একটি নার্সারি থেকে মাল্টার চারা সংগ্রহ করে নিজের ২০ শতক জায়গায় নতুন মাটি ফেলে বাগান তৈরি করি।’
তিনি জানান, দুই বছরের মধ্যে গাছ বড় হয়ে আড়াই বছরে মাল্টা ধরা শুরু হয়। গত বছর এখান থেকে ৫৫ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করেছেন। এ বছরও ভালো ফলন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মাল্টা চাষে সফলতা অর্জন করায় আরও দুই একর জমিতে বাগান সম্প্রসারণ এবং মাল্টার পাশাপাশি পরবর্তীতে ড্রাগন ফল চাষের কথাও জানান আল-আমিন।
তবে এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কোনো পরামর্শ না পাওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি।
অন্যদিকে, মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন জানান, তিনি এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়ার জন্য সব সময় প্রস্তুত রয়েছেন।
সম্প্রতি আল-আমিনের বাগান ঘুরে দেখেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান ও ইউএনও স্নেহাশীষ দাস।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের কর্মকর্তা কৃষিবিদ নরেশ দাস জানান, চাঁদপুর জেলায় এখন ব্যক্তি পর্যায়ে মাল্টা চাষ করে অনেকে সফল হয়েছেন। মাল্টা চাষের বিষয়ে কেউ পরামর্শ নিতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অফিস তা সরবরাহ করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।